বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ ঃ বাংলাদেশে বিদেশে পাচারকৃত বিপুল সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ জোরালোভাবে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আমলারা অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে বিদেশে জমি, ফ্ল্যাট কেনাসহ বিভিন্ন কোম্পানি গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের সম্পদ চিহ্নিত করতে এবং তা ফিরিয়ে আনতে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (BFIU) চিঠি পাঠিয়েছে কয়েকটি দেশে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতেও ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
- বাংলাদেশি গারো উপজাতিদের জীবন – bangladesh tribal life
- বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট – মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে লড়াই
- চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিকাণ্ড – নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ড
- যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে
- বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ
বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকেও প্রযুক্তিগত সহায়তা চাওয়া হয়েছে, যাতে পাচার হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনা যায়। ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের চুরি হওয়া সম্পদ ফেরত আনার জন্য তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বলেন। প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ বিপুল, এবং এটি ফেরত আনার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং বিএফআইইউকে একত্রে একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সম্পদ জব্দ ও তা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বিভিন্ন গোষ্ঠী মিলে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লন্ডন, দুবাই, নিউইয়র্কের ম্যানহাটন, সিঙ্গাপুর, এবং মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি পাচারকারীদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এগুলো ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সহায়তা নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই সম্পদগুলো ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।