চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করা এমটি বাংলার জ্যোতি নামের একটি ট্যাংকারে আজ বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকারটি সাগরে থাকা একটি বড় ট্যাংকার থেকে তেল পরিবহন করে এনে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে সরবরাহের জন্য জেটিতে নোঙর করেছিল।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, আগুনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে জলযান পাঠানো হয় এবং বন্দর চ্যানেলের কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ট্যাংকারে জ্বালানি তেল ছিল কি না বা কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাত বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
- বাংলাদেশি গারো উপজাতিদের জীবন – bangladesh tribal life
- বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট – মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে লড়াই
- চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিকাণ্ড – নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ড
- যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে
- বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ
চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করা এমটি বাংলার জ্যোতি ট্যাংকারে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত কিছু সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- কারিগরি ত্রুটি: ট্যাংকারের জ্বালানি সিস্টেম বা অন্যান্য যান্ত্রিক অংশে ত্রুটি থাকলে আগুন লাগতে পারে।
- বিদ্যুতের গোলযোগ: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে।
- জ্বালানি তেল লিকেজ: ট্যাংকারে জ্বালানি তেল লিকেজ হলে এবং কোনো প্রকার আগুনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।
- মানবসৃষ্ট ত্রুটি: লোডিং বা আনলোডিং প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি বা অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
যেহেতু এখনো তদন্ত চলছে, সঠিক কারণ জানা যাবে তদন্ত শেষ হওয়ার পর।
এমটি বাংলার জ্যোতি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চলছে, এবং অগ্নিকাণ্ডের বিস্তারিত তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
যেহেতু ট্যাংকারটি একটি জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ছিল, ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করবে:
- ট্যাংকারে তেল ছিল কি না।
- আগুনের বিস্তার এবং ট্যাংকারের ক্ষতির পরিমাণ।
- বন্দরের অবকাঠামো বা অন্যান্য নৌযানে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না।
এক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।