অমিত শাহ এর হুমকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলানর : ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঝাড়খন্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে দেওয়া এক বক্তব্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গঠন করা হয়, তবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে। এই বক্তব্যে অমিত শাহ ঝাড়খন্ডে আদিবাসীদের জনসংখ্যা হ্রাস এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, ঝাড়খন্ডে আদিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৪৪ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং স্থানীয় সরকার অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এছাড়া তিনি বর্তমান ঝাড়খন্ড সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
অমিত শাহের বক্তব্যটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী এবং অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে তুলে ধরে। তিনি ঝাড়খন্ডের জনসংখ্যার পরিবর্তন এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংকটের বিষয়টি সামনে এনে অনুপ্রবেশকারীদের হুমকি দিয়েছেন, যা বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে তার বক্তব্য ভারতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে একটি স্পর্শকাতর বিষয়, যা প্রায়শই নির্বাচনী প্রচারণায় উঠে আসে।
- বাংলাদেশি গারো উপজাতিদের জীবন – bangladesh tribal life
- বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট – মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে লড়াই
- চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিকাণ্ড – নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ড
- যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে
- বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ
অমিত শাহ তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খন্ডের আদিবাসীদের ভূমি এবং জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে এবং এর পেছনে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির মতো দলগুলো অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি আদিবাসীদের জন্য ক্ষতিকর এবং এর ফলে তারা নিজেদের ভূমি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া, অমিত শাহ দাবি করেন যে ঝাড়খন্ডের পাকুড় জেলায় “হিন্দুরা ঝাড়খন্ড ছাড়ো” স্লোগান শোনা যাচ্ছে, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তার বক্তব্যে বিজেপির “মুসলিম অনুপ্রবেশ” বিরোধী অবস্থান আরও দৃঢ়ভাবে ফুটে উঠেছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্যে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
অমিত শাহের হুমকি এবং বক্তব্যগুলি নির্বাচনী কৌশলের অংশ, যা বিজেপির ভোটারদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আবেগকে উস্কে দিতে পারে। ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ একটি দীর্ঘদিনের ইস্যু, এবং অমিত শাহের মতো নেতারা এটি ব্যবহার করে স্থানীয় ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে যেখানে আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।
তবে, এই ধরনের বক্তব্যগুলো রাজনৈতিকভাবে কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করবে জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পাল্টা প্রচারণার ওপর।