সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দক্ষতার উন্নতির লক্ষ্যে তারা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। সরকার একটি ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে, যা ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে হতে পারে। এর ফলে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে শিশুদের জন্য একটি “অভিশাপ” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং শিশুদের প্রকৃত সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত করছে। তার লক্ষ্য হলো শিশুদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনা, যাতে তারা ডিভাইসের পরিবর্তে বাস্তবিক যোগাযোগে অংশ নিতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ
- বাংলাদেশি গারো উপজাতিদের জীবন – bangladesh tribal life
- বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট – মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে লড়াই
- চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিকাণ্ড – নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ড
- যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে
- বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ
তবে বয়স যাচাই পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক টোবি মারে বলেছেন, বয়স যাচাই করার জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলো নির্ভরযোগ্য নয় এবং সেগুলো সহজেই ফাঁকি দেওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল বিরোধী দলীয় নেতা পিটার ডাটন এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
কবে কার্যকর হবে?
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণের যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা এ বছরের মধ্যেই আইন আকারে প্রণয়ন করার লক্ষ্য রয়েছে। তবে সঠিক তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
আলবানিজ জানিয়েছেন, আগামী মাসগুলোতে বয়স যাচাই পদ্ধতির পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু হবে, কিন্তু এটি কার্যকর করতে যে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। আইন প্রণয়নের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের অ্যাক্সেস সীমিত করার এই প্রক্রিয়া চালু হবে।