বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুত চুক্তি বিপাকে আদানি গ্রুপ: বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ের প্রশ্নে ভারতের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। আদানি পাওয়ার এবং ভারতের অন্যান্য বিদ্যুৎ কোম্পানির বিপুল অঙ্কের বকেয়া আদায়ে তাদের সামনে কয়েকটি সম্ভাব্য পথ রয়েছে:
- আলোচনার মাধ্যমে সমাধান: বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে ভারতের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে চাপ সৃষ্টি না করলেও, এই আলোচনাগুলো কূটনৈতিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
- আংশিক বা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা: আদানি পাওয়ার ইতিমধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে, এবং যদি দ্রুত বকেয়া পরিশোধ না হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ আরো কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও সরবরাহ হ্রাস করেছে, যেমন ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করা হয়েছে।
আরও জানতে :
- বাংলাদেশি গারো উপজাতিদের জীবন – bangladesh tribal life
- বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট – মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে লড়াই
- চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্নিকাণ্ড – নিয়ন্ত্রণে বন্দর ও কোস্টগার্ড
- যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে
- বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র নয় বিভিন্ন দেশে মিলছে সম্পদের খোঁজ
- আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করা: বকেয়া অর্থ আদায়ের চরম পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যেতে পারে, যদিও এই পদক্ষেপ আপাতত শেষ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আদানি পাওয়ার সহ অন্যান্য কোম্পানি এখনো এই পথে যায়নি, তবে তাদের কাছে এই বিকল্পটি উন্মুক্ত রয়েছে।
- বিশেষ সরকারি সুরক্ষা বা গ্যারান্টি: ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোতে থাকা সুরক্ষা শর্ত (গ্যারান্টি) প্রয়োগ করতে পারে, যা দেশের মধ্যেও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বকেয়া আদায় নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশের আর্থিক সংকটের কারণে দেশটি ঋণ ও বৈদেশিক রিজার্ভের অভাবে ভুগছে, তাই ভারতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।